নব্বইয়ের হিন্দি গান শুনছি। আজকালকার বাচ্চারা হয়তো গানগুলো (ভিডিওগুলো আর কী) দেখে হাসবে; আমিও হাসি মাঝে মাঝে। কিন্তু আজ সকাল থেকেই এক-একটা গানের সঙ্গে এক-একটা স্মৃতি উঠে আসছে।
যেমন, ‘তুম দিলকি ধড়কান মে’ শুনে মনে পড়ছে কসবায় এক জায়গায় অঙ্ক করতে যেতাম। মৈত্র স্যারের বাড়ির কাছে একটা চা দোকানে এই গানটা বেজেই যেত নিরবিচ্ছিন্নভাবে। স্যারের বাড়ি যখন খুশি পড়তে যাওয়া যেত। সকাল-বিকাল। এই গানটা শুনতাম প্রায় রোজই। স্যারের বয়স তখনই সত্তরের ওপর ছিল। শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছিল। আমার অঙ্কের জ্ঞানগম্যির ওপর ওনার যা বিশ্বাস ছিল, আমারও ততটা ছিল না। উনি বলতেন, “মিস্টার কুদ্দুস, তুমি খুব ভালো টিচার হবে। অঙ্ক নিয়ে পোড়ো।” এত আন্তরিকতা নিয়ে বলতেন যে, আমি ওনাকে শুধরে দিতাম না — কুদ্দুস আসলে আমার বাবার নাম। আমি অঙ্ক নিয়ে পড়িনি, টিচারও হইনি। ভারতের লাখ-লাখ সফোদের একজন হয়েছি। সেটা জানাতে স্যারকে একদিন ফোন করেছিলাম। কানে আর শুনতে পেতেন না। তাই ওনার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেও প্রায় বছর আটেক হয়ে গেল। এখন মৈত্র স্যার আর আছেন কিনা তাও জানি না।
এভাবে প্রত্যেকটা গানের সঙ্গেই কিছু না কিছু স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে আমার বসার ঘরে ঢুকে পড়ছে সকাল থেকে। আমি ১০-১৫ বছর আগের এক রোহণের সামনে বসে আছি। সে অনেক ভালো ছিল কিনা জানি না, কিন্তু এইসব গান তার চারপাশে বড় সহজে ছিল তখন।
আহা! গ্লোরিয়াস নাইন্টিজ।
1
June 7, 2014
FB-তে এই পোস্টটা পড়ে কালগত অসঙ্গতিগুলো বলেছিলাম। কে জানে, বোধ হয় সেগুলো মানতে আপত্তি আছে লেখকের।
June 7, 2014
আগেই যেমন বলেছিলাম, আমার নব্বইয়ের সীমানাটা নেহাতই আমার নিজস্ব। 🙂
October 21, 2014
Joto porche amar moner doroja jeno aro khule jachea