Hangover-এ ছিল না — ‘Remember, what happens in Vegas, stays in Vegas. Except for herpes. That shit’ll come back with you.’ ক’দিন আগে পিঠে কীসব বেরিয়েছিল। লিপি দেখে-টেখে চিন্তিত মুখে বলল, “হারপিস।” বাপিও দেখি শুনে ঘটাঘট মাথা নাড়ছে। আমার তো আঁতকে ওঠার জোগাড়। বলে কী! আমার কী জন্যে হারপিস হবে? ভেগাস তো দূর, আমি জন্মে গোয়াও যাইনি। তড়িঘড়ি ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখি, যা অনুমান করেছি ঠিক তাই। হারপিস ওইখানে হয় আর হয় মুখে। আমার তো পিঠে ক’টামাত্র জলভরা ফুসকুড়ি বেরিয়েছে।
ফলে বাঙালি যা করে। বউ আর বাপের কথা অগ্রাহ্যি করে বাড়িতে ডাক্তারি। পিঠে এই মলম সেই পাউডার লাগানোর পরেও কমছিল না। আজ স্কুল থেকে ফিরেই লিপি হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার দেখে-টেখে বললেন, “হারপিস।” পিঠে? আমার মুন্নাভাইয়ের সেই দৃশ্যটা মনে পড়ছিল। একটা এক্স-রে প্লেটে স্কালের ছবি দেখতে দেখতে মুন্নাভাইয়ের মন্তব্য — “জো ডর থা বোহি হুয়া। লিম্ফো সারকুমা অফ ইনটেসটাইন।” ডাক্তারবাবুর প্রতি অনাস্থা বোধ হয় আমার মুখে পড়া যাচ্ছিল। তাই ভদ্রলোক একটু নরম গলায় বললেন, “একে বলে নার্ভের পক্স।” আর পোশাকি নাম হারপিস! ছ্যা! ছ্যা! ডাক্তারদের মায়া-দয়া খুবই কম। রোগের এমন নাম প্রেসক্রিপসানে লিখল যে ওষুধ নিতে গেলেও হাত দিয়ে জায়গাটা ঢেকে দেখাতে হচ্ছে। দিদি হাসপাতালগুলোকে টাইট দিচ্ছেন, মেট্রো স্টেশানের ধ্যাড়াধ্যাড় নাম বদলাচ্ছেন, চাইলে ডাক্তারদের ধমকে ধামকে এরকম ভুলভাল রোগের নাম একটু প্রেজেন্টেবল রাখার কথা ভাবতে পারেন না? সিরিয়াসলি ডিউড! হারপিস!
ওমনিস্কোপ
Homepage of Rohon Kuddus
Leave a Reply