কাল অনেক রাত জাগার পরও ভালো করে ঘুম হল না, সক্কাল সক্কাল উঠে মাথা ধরা, চোখ জ্বালা ইত্যাদি শুরু হয়েছে। তাই ভাবলাম, একা কেন ভুগি।
লিপি সাধারণত ইন্টারনেট এবং ফেসবুক থেকে দূরেই থাকে। নেহাত দরকারি কিছু জিনিসপত্রের প্রয়োজনেই সে নেট ঘাঁটে। স্বভাবতই বেচারি জানত না রোদ্দুর রায় কে। সকালে মুখ-টুখ ধুয়ে সে বাথরুম থেকে বেরোতেই প্রেমসে জিজ্ঞাসা করলাম “রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনবে?” অর্ণব আমাদের দুজনেরই প্রিয়, তাই সে গুছিয়ে বসল। আমি বিরিঞ্চিবাবা-মাফিক হেসে তাকে বললাম — “ওরে অবোধ! যার গান শোনাব, সে অর্ণবের গুরু।” তারপর শুরু হল রোদ্দুর রায়ের মোক্ষ ঘরানার মম চিত্তে…
এক মিনিট পরে আমায় গান বন্ধ করার হুমকি দিয়ে লিপি ড্রয়িংরুম থেকে রান্নাঘরে গেল এবং আমাদের গৃহ-সহায়িকা (মানে-বই নয়, মানে-বউ — বউকে সাহায্য করে, রাঁধে ও বাসন মাজে) সীতা রান্নাঘর থেকে ড্রয়িংরুমে এল হুমকি দিতে।
আহ! কেলভিনের সেই বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে গেল — “Nothing helps a bad mood like spreading it around.”
1
Leave a Reply