আজ অফিসে এসে ডেস্কে বসতে না বসতেই এক গাদা শুভেচ্ছা — লোকে সশরীরে, মেলে, মেসেঞ্জারে অভিনন্দন জানাচ্ছে। সঙ্গে একটা চকোলেটের বাক্স ছিল। সেখান থেকে টুকটাক প্যাকেট উঠিয়ে জানতে চাইছে ছুটি কেন নিইনি। সবই ফেসবুকে নিও-র ছবির কল্যাণে। কত আর লোকজনকে বুঝিয়ে বলব। হাসিমুখেই ‘থ্যাংকু’ বলে চলেছি সবাইকে। কিন্তু হাঁড়ির খবর না জানলে পেটের ভাত হজম হয় না কারও কারও।
– আরে, কিছুদিন আগেই তোর ছেলে হয়েছিল না?
– হবে হয়তো, কেন?
– আবার! ফ্যামিলি প্ল্যানিং বলে কিছু ব্যাপার আছে তো?
– বাজে না বকে চকলেট নে আর রাস্তা দ্যাখ।
সে চকোলেট নিয়ে দার্শনিকের মতো মুখ করে ভারতের বর্তমান সমস্যা নিয়ে বক্তিমে দিতে যাচ্ছিল। ব্যাপারটাকে ঝেড়ে ফেলতে বললাম, “আমার নয় ভাইয়ের ছেলে।”
“ওহ।” সে তবুও আমার চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে রইল। এরপর কী প্রশ্ন করা যায় ভাবছিল হয়তো। এমন সময় এল সন্দীপ। তার বাড়ি পাঞ্জাবে, হাসিখুশি মানুষ। খেতে ভালোবাসে, খাওয়াতেও। সে একমুখ হেসে তিন-চারটে চকোলেট তুলে নিতেই আমাদের পূর্বোক্ত এঁটুলি হাঁ হাঁ করে উঠল — “আরে অতগুলো নিস না, একটা নে। ওর নিজের ছেলে নয়, ভাইয়ের ছেলে।” সন্দীপের সঙ্গে সকালেই এই নিয়ে কথা হয়েছে। তাই সে বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়ল — “জানি, জানি। সকালেই রোহণ বলেছে নেফিউ।” তারপর আমার দিকে ঘুরে জিজ্ঞাসা করল — “নেফিউ তো বুঝলাম। কিন্তু ছেলে না মেয়ে?”
ওমনিস্কোপ
Homepage of Rohon Kuddus
Leave a Reply