প্রিয় গান
এ বছরের মার্চ পর্যন্ত শাহ রুখ-কাজলের ‘দিলওয়ালে’ ছবির ‘রঙ দে তু মোহে গেরুয়া’ ছিল। কিন্তু এখন তার জায়গা নিয়েছে টাইগার শ্রফ-শ্রদ্ধা কাপুরের ‘বাগী’ ছবির ‘ছম ছম ছম’। দুবেলা খাওয়ার সময় এ পর্যন্ত ইউটিউব থেকে সে ওই গানটি ২৫৪০ বার দেখেছে। বলাই বাহুল্য, গানটি এখনও ইউটিউবে ট্রেন্ড করার মূল কারণ নিমো।
প্রক্সিমিট এরর
শব্দের শেষে ‘র’ থাকলে নিমো সেটাকে ‘ত’ উচ্চারণ করে। যেমন, আবার-কে আবাত, খাবারকে খাবাত ইত্যাদি। খেয়াল করলে দেখা যাবে, qwerty কিবোর্ডে r এবং t পাশাপাশি। ইউনিকোড বাংলায় ফোনেটিক্স লে-আউটে টাইপ করতে গিয়ে তাই ‘র’ আর ‘ত’ গুলিয়ে টাইপো হয় বটে। কিন্তু এ ব্যাটা উচ্চারণে এ ব্যাপারটাকে কী করে রপ্ত করল সেটাই আশ্চর্যের।
প্রিয় খাবার
শসা এবং শুধু বাদাম। শসা গোল করে কেটে দিলে নিমো প্রতিটা স্লাইসে একটা কামড় বসিয়ে বাকিটা প্রসাদ হিসাবে রেখে দেয়। আর শুধু বাদাম সম্পর্কে বিশদে জানতে এই পোস্টটা পড়ে দেখতে পারেন।
নেমেসিস
বছরখানেক বয়স পর্যন্ত নিমোর প্রধান ভয় ছিল ‘টিকটিক’-এ। কিন্তু লায়েক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন আর সে টিকটিকিগুলোকে বিশেষ পাত্তা দেয় না। মাঝে মাঝে বন্দুক বাগিয়ে টিকটিকি শিকারেও বের হয়। এখন নিমোর প্রধান শত্রু হল বস্তাবুড়ো। যদিও এর মধ্যে একবার বিদ্রোহ ঘোষণার মাধ্যমে বস্তাবুড়োকে উৎখাত করার চেষ্টা সে করেছিল। তাই ভয়টাকে সুদৃঢ় করতে এই জিনিসটা কিনে রেখেছি। বদমায়েশি কার্ফিউ জারি করার মতো জায়গায় পৌঁছলে বস্তাবুড়ো দর্শন দেন।
প্রিয় গ্যাজেট
মায়ের ফোনটা নাহলে তার চলেই না। ইতিমধ্যেই দুবার তার স্ক্রিন ভাঙা হয়ে গেছে। মায়ের ল্যাপটপের স্ক্রিনও একবার বদল করতে হয়েছে। এমনকী, কী ভেবে কে জানে আমার গ্রাফিক ট্যাবলেটের পেনটাকেও দু টুকরো করে ফেলেছিল। কিন্তু দিনের শেষে নিমোর প্রিয় জিনিস হল নানুর চাবির রিং। ভদ্রলোক কিছুতেই সেটা ভরসা করে নিমোর হাতে দেন না। তাই নিমোও থাকে তক্কে তক্কে। সুযোগ পেলেই চাবির রিং হস্তগত করে ‘পেয়িচি’ বলে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় লাগায়।
পোষ্য
কিছুদিন আগে এই ভালুকটা নিমোকে কিনে দেওয়া হয়েছে। নিমো হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে, তাকে শিক্ষিত করার অভিপ্রায়ে বললাম, “এটা ভাল্লু-উ-উ-ক।” নিমো তার নামকরণ করল — নাফিচ দোগন ভালুক। অবশ্য শুধু ভালুক নয়, নিজের নাম যত্রতত্র দেগে দেওয়ার ব্যাপারে সে বেশ উদার। গবগবের বাচ্চার নাম তাই এখন নাফিচ দোগন ম্যাও। খুব শীঘ্রই আমাদের পাড়ার রাস্তার নাম নাফিচ দোগন সরণী (বা ধরণী) বা ক্লাবের নাম নাফিচ দোগন সংঘ হয়ে উঠতে চলেছে।
প্রিয় মাছ
না, ক্লাউন ফিস নয়। যদিও নিমোর দুই পিসি (কেয়াদি আর শকুন্তলাদি) তার জন্যে দু-দুটো ‘ফাইন্ডিং নিমো’-র নিমো পাঠিয়েছে। কিন্তু সেগুলোর সঙ্গে নিমোর খুব একটা দোস্তি হয়ে ওঠেনি। তার পছন্দ ‘ডলিফিন’। যদিও ডলফিন হয়তো সে অর্থে মাছ নয়, তবুও ডলফিনের ছবিওলা বই বা ইউটিউবে ডলফিনের ভিডিও দেখিয়ে নিমোকে তার ব্যস্ত কর্মযজ্ঞ থেকে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও শান্ত করে রাখা যায়।
34
July 23, 2016
Bah
July 23, 2016
🙂