আজ সকাল থেকে নিমোর বিশ্রাম নেই। ঘুম থেকে উঠেই গবগবকে এমন ধমকেছে যে, সে আপাতত বারান্দায় গিয়ে শুয়েছে। তারপর সব্জি-টব্জি কিনতে আমার হাত ধরে নিয়ে গেল বাড়ির পাশের স্টোরে। সেখান থেকে দুটো গাজর বেছে দিয়ে পা বাড়াল পাড়ার শপিং মলের দিকে। আমার কোল থেকে নেমে একটা বাস্কেট টানতে টানতে আমায় ডাকল — “বাপু এচো।” তারপর চালডালের সেকশানে যাওয়ার আগে কিছু বিস্কিটের প্যাকেট বাস্কেটে পড়ল, কিছু তার বাইরে। একটা গ্লুকন ডি-র প্যাকেটের পেট প্রায় ফাটতে চলেছিল। কেনাকাটার শেষে আবার আমার কোলে উঠে জিনিসপত্র বুঝে নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের ভদ্রমহিলাকে বলল, “থাংকু।”
তারপর বাড়ি ফিরেই নাকেমুখে দুটো সেরেল্যাক গুঁজে ছুটল তার মায়ের সর্দির ওষুধ আনতে। রাস্তায় নিজের মনেই দেখি ওয়ান-টু গুনছে। সতর্ক চোখে দেখলাম আশেপাশে কোনও মাইলস্টোন আছে কিনা। যদিও আমার বাড়ি থেকে মেডিক্যাল স্টোরের দূরত্ব মেদিনীপুর -কলকাতার থেকে বেশ কম। অবশেষে রহস্যের উন্মোচন করল নিমো নিজেই। ‘টেন’ বলার পর ঘোষণা করল, “কত্ত গালি।” সত্যিই ‘বাংগালের’ রাস্তায় অনেক গাড়ি। যাই হোক, ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরে পকেট থেকে স্ট্রিপটা বের করে মায়ের হাতে দিয়ে বলল, “আল্লা।” মানে এবার ঘুম পেয়েছে। দুধ-টুধ খেয়ে মুখ মুছে সে গেল ঘুমোতে। লিপি গেল রান্নাঘরে। আমি ছুটলাম ডাস্টবিনের ময়লা ফেলতে। তার ফাঁকেই টুক করে ছবিটা তোলা। কারণ গতকাল থেকে আপাতত স্থির ফ্রেমে তাকে ধরা যায়নি। ব্যস্ত মানুষ, কত কাজ থাকে তার সারাদিন।
ওমনিস্কোপ
Homepage of Rohon Kuddus
Leave a Reply