একটা নদীর কথা কীভাবে লিখতে হয়? বা একটা মহীরূহের বেড়ে ওঠা?
এই যে দেখছ বাতানুকূল ঘরে খটাখট হাজারটা কীবোর্ডের মাঝে বসে লিখছি বা প্রতিদিন সবুজ গালিচা ঘাসে পা ডুবিয়ে বিকেল শেষে মনে মনে হাঁটছি আমার জানালার অন্যপারের মনোরম বাগানে; এমন স্বপ্ন কিন্তু আমি দেখিনি। আমার হয়ে তিনি দেখেছিলেন। হয়তো আমার বাপি-মা-ও দেখেছিল। কিন্তু সে তো শুধু আমার জন্যে। আমার ভাই বাপাইয়ের জন্যে। কিন্তু তিনি এই স্বপ্ন দেখেছিলেন আমার জন্যে এবং আমাদের সবার জন্যে। এইখানেই তাঁর জিত। যারা নিজেদের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বলে কাগজ ভরায়, তাদের সবার ওপরে ইনি থাকবেন আমার স্বপ্ন দেখার মধ্যে। আমার স্বপ্ন দেখার স্পর্ধার মধ্যে। যে জাদুকাঠির মায়া তিনি বুলিয়ে গেছেন চোখে, তাতে এভারেস্টের চূড়াও পায়ের কয়েক ফুট নিচে খুঁজে পাওয়া যায়।
মানুষের জীবনে অগণিত ঋণ থাকে। অপরিশোধ্য। আমার জীবনেও এমন ঋণ কম নয়। কিন্তু তাঁর কাছে যে ধারবাকির হিসাব তাকে ঋণ বলা অনায্য হবে। বরং তাকে একটা গোটা আকাশ বলা যায়। বেড়ে ওঠার একটা অসামান্য আকাশকে বর্ণনার সুবিধার্থে তুমি ঋণ বললে ঋণ, উপহার বললে উপহার। আমার কাছে সেটা বড় হয়ে ওঠা। আর সবকিছু ছাড়িয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানো। তাঁর স্বপ্ন সফল করা। তাঁর অন্য কোনও নাম নেই আমার কাছে। আমি শুধু ‘স্যার’ ডাকি। আর তুমি যদি বুঝতে না পারো, তাহলে ‘সেক্রেটারি স্যার’। আল আমীন মিশনের সেক্রেটারি স্যার।
3
Leave a Reply